Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ মে ২০১৯

বিটিএমসি তে স্বাগত

          প্রাগৈতিহাসিক থেকে অষ্টম সেঞ্চুরীতে শিল্প বিপ্লব পর্যন্ত পূর্ব বাংলা বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল । পাক-ভারত উপ-মহাদেশে বংশানুক্রমিকভাবে  সুদক্ষ কারিগর (Artisan) গ্রুপ আকারে কুটির শিল্প হিসেবে বস্ত্র উৎপাদন করত। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনের অবসান এবং ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ায় পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যুদয় হয়। পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক নীতির কারণে পূর্ব পাকিস্তানে বেকারত্ব ও  শ্রমিক সস্তা হওয়ায় বেসরকারী অধীকাংশ বস্ত্রশিল্প পূর্ব পাকিস্তানে স্থাপিত হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি শাসনের অবসান হয়।

 

          ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ The Bangladesh Industrial Enterprises (Nationalization) Order No 27 of 1972 (President Order No 27 of 1972) এর ক্ষমতাবলে Bangladesh Textile Mills Corporation (BTMC) গঠন করা হয়। President Order No 27 of 1972 এর মাধ্যমে জাতীয়করণকৃত ৭৪টি মিল নিয়ে ১৯৭২ সালের ১লা জুলাই হতে বিটিএমসির আনুষ্ঠানিক কার্য্ক্রম শুরু হয়। জাতীয়করনের ৩টি বাস্তব সম্পদবিহীন (নামসর্বস্ব) বিটিএমসি‘র তালিকায় রয়েছে।

 

সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় পরবর্তীতে  বিটিএমসি’র মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১২টি শ্রমনিবিড় বস্ত্র শিল্প ( Labor Intensive Textile Mills) স্থাপন করা হয়। ফলে বিটিএমসি’র মিল সংখ্যা দাড়ায় ৮৬টি। দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ১০৫টি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বিটিএমসি’র মিলগুলোতে উৎপাদিত সূতা এবং কাপড় সাধারণ ভোক্তাদের নিকট ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করা হতো। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের সূতা ও বস্ত্রের চাহিদা পূরনে  বিটিএমসি’র মিলগুলো সিংহভাগ ভূমিকা পালন করেছে। 

 

বিশ্ব অর্থনীতি পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে বেসরকারী শিল্প মালিক এবং দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে বিরাষ্ট্রীয়করণ ‍শিল্প নীতির আওতায় জাতীয়করণকৃত বস্ত্র মিলগুলোর মধ্যে ৩০টি মিল সাবেক বাংলাদেশী মালিকদের নিকট ফেরৎ দেয়া /হস্তান্তর করা হয় এবং ১২টি মিল বেসরকারীকরণ করা হয়। লিকুইডেশন সেল কর্তৃক ৩টি মিল বিক্রি ও বিক্রির জন্য লিকুইডেশন সেলে ৪টি মিল ন্যাস্ত করা হয়। শিল্পখাতে শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করে ৯টি মিল শ্রমিক-কর্মচারীদের মালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে বিটিএমসি’র মোট ৫৮টি মিল বিক্রি, হস্তান্তর ও অবসায়ন করা হয়। বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রনে বর্তমানে ২৫টি মিল রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মিল ভাড়ায় চালু আছে। চিত্তরঞ্জন কটন মিলস, নারায়নগঞ্জ-এ “টেক্সটাইল পল্লী” স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে।

 

মিল ছাড়াও বিটিএমসি’র নিজস্ব উদ্যোগে ১৯৭৯ সালে “টিআইডিসি”(Textile Industries Development Center) নামে সাভারে একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে দেশের সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা,কর্মচারী ও শ্রমিকদের কারিগরিসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো।  কেন্দ্রটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের “নিট্রেড” প্রকল্পের আওতায় নেয়া হয়।  “নিট্রেড” প্রকল্পটি সরকারী-বেসরকারী সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত গভর্নিং বডির মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রাক্ট-এ পরিচালনার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৮ সালে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে  বিটিএমএ (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশন) এর নিকট দুই বছরের জন্য হস্তান্তর করা হয়, যা “নিটার” নামে পরিচালিত হচ্ছে।

 

১৯৯৭ সালে বিটিএমসি’র মিলগুলোতে সার্ভিসচার্জ পদ্ধতি চালু করা হয়। মিলগুলোর যন্ত্রপাতি ৩০/৪০ বছরের পুরানো প্রযুক্তির বিধায় সার্ভিসচার্জ পদ্ধতিতে পরিচালনা করে মিলের আয় দ্বারা উৎপাদন ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয়নি।বেকারত্ব দূরীকরন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিটিএমসি ভর্তুকী প্রদান করেও সার্ভিসচার্জ পদ্ধতিতে মিল চালনার জারী রাখে। কিন্তু ২০১৭ সালে ভর্তুকির পরিমান মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং   মিলগুলো আধুনিকায়নে সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় লোকসান হ্রাসের লক্ষ্যে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতির পরিবর্তে ভাড়া পদ্ধতিতে মিল চালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

 

ঢাকা চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরের প্রাইম-জোনে স্থাপিত বিটিএমসি ‘র মিলগুলোতে প্রায় ৬২৩.৯৫ একর জমি   (Developed land) রয়েছে। মিলগুলো যে সকল স্থানে অবস্থিত সেখান হতে স্থল, নৌ এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ইউটিলিটি সার্ভিসের সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। তাই সহশ্রাব্দ উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের আলোকে ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরের নিমিত্তে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে পিপিপি ও যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। এলক্ষ্যে বিটিএমসির মিলগুলো পর্যায়ক্রমে পিপিপি ও যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের মাধ্যমে  আধুনিকায়ন ও নতুন গ্রীন প্রকল্প গ্রহনপূর্বক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সাথে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পরিকল্পনা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ব মিলগুলোতে সরকারী-বেসরকারী যৌথ ও সমন্বিত উদ্যোগে আধুনিক প্রযুক্তির বস্ত্রশিল্প স্থাপনে বিটিএমসি  নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

বিটিএমসির বন্ধ মিলগুলো চালু করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১২/১০/২০১৪খ্রিঃ তারিখে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় পরিদর্শনকালীন নির্দেশনা মোতাবেক বিটিএমসির ১৬টি মিল পিপিপি তে পরিচালনা কার্যক্রম চলমান। বর্তমানে ২টি মিল (আহমেদ বাওয়নিী টেক্সটাইল মিল এবং কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল) পিপিপিতে পরিচালনার জন্য সিসিইএ হতে চুড়ান্ত অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে এবং মিলগুলো নির্বাচিত প্রাইভেট পার্টনার এর নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon